ঢাকা।। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ও নিহতদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করার। আজ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মালদ্বীপ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘটনা শুনে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ও নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় সফরে বিদেশে অবস্থান করেও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করে।
এখন পর্যন্ত লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে। দগ্ধদের মধ্যে ৭২ জনকে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়।
জানা গেছে, লঞ্চটিতে হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। সুগন্ধা নদীতে থাকাবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে পার্শ্ববর্তী দিয়াকুল এলাকায় বিপর্যস্ত লঞ্চটি ভেড়ানো হয়।
লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানান, রাত ৩টার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। পরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। এ সময় লঞ্চে বেশ কয়েকজন যাত্রী দগ্ধ হন। প্রাণে বাঁচতে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে নদীতে লাফিয়ে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের ডুবুরি দল। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে তিন বাহিনীর তিন দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
অগ্নিকাণ্ড তদন্তে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।